খুলে গেল ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের সীমান্ত

Share on Facebook

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত অধিকাংশ দেশ সীমান্ত খুলে দিলো। যদিও ইতালিসহ কয়েকটি দেস আগে থেকেই সীমান্ত খুলে দিয়েছে, এবার তাদের সাথে যোগ দিলো ফ্রান্স, জার্মানিসহ আরও কিছু দেশ।

বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি আজ তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। ট্র্যাফিক পুলিশ ও যেসব কর্মকর্তারা সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতেন আজ থেকে তারা আর থাকছেন না। চেক রিপাবলিক তাদের ২৬ প্রদেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও বেলজিয়াম, পর্তুগাল, সুইডেন ও যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের সহসাই মিলছে না দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি। তবে গ্রীস সবার জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে। ইউরোপের দেশগুলো ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকরাও গ্রীসে প্রবেশ করতে পারবে।

৩ জুন থেকে ইতালি তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে আর ইউরোপীইয়ান ইউনিয়নের জন্য ১৩ জুন থেকে সীমান্ত খুলে দিয়েছে পোল্যান্ড। পর্তুগাল, স্পেন, সুইডেন ও যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রেখে অস্ট্রিয়ার সীমান্ত খুলে যাচ্ছে আগামীকাল ১৬ জুন। অবশ্য সুইডেন ও লুক্সেমবার্গ কখনই তাদের সীমান্ত বন্ধ করে নি।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জানিয়েছেন, পর্তুগাল ছাড়া ইউরোপের বাকি সব দেশের নাগরিকরা স্পেনে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে ২১ জুন। যদিও পর্যটন খাতকে চাঙ্গা রাখতে আজ থেকে সীমিত পরিসরে বালিয়ারিক দ্বীপকে জার্মান পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে পর্তুগালের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ থাকবে ১১ জুলাই পর্যন্ত।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাঁখো এক ঘোষণায় বলেছেন, আজ সোমবার থেকে ক্যাফে ও রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়া হবে এবং ফরাসিরা চাইলে ইউরোপের যেকোনো দেশে ঘুরতে যেতে পারবেন।

রোববার রাতে এক ঘোষণায় লকডাউন শিথিল করাসহ সীমান্ত খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে মাঁখো বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ফ্রান্স ‘প্রথম বিজয়’ পেয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ভাইরাসটি আবার ফিরে আসতে পারে। তার কথায়, ‘আগামীকাল (সোমবার) থেকে আমাদের সব অঞ্চলগুলোতে আমরা নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারব।’

এ মাসের শুরু থেকেই ফ্রান্সের অনেক রেস্তোরা, হোটেল ও ক্যাফে খুলে দেয়া হয়, যদিও সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয় ছিল। কিন্তু এখন নিয়মকানুন অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে।

মাঁখো জানান, স্কুলগুলো খুলে যাবে ২২ জুন, যদিও হাই স্কুল এখনই খুলছে না।নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তার মানে এই নয় যে ভাইরাসটি চলে গেছে এবং আমরা আমাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ছুড়ে ফেলব। এই গ্রীষ্মটি আমাদের অন্য সব গ্রীষ্মের মতো হবে না এবং ভাইরাসটি নিজেকে পাল্টে ফেলে আবারো ফিরে আসে কিনা সেই প্রস্তুতি আমাদের নিয়ে রাখতে হবে।’

Leave a Reply