উহান ঘুরে আসা পাইলটদের অন্য দেশে ঢুকতে বিপত্তি

Share on Facebook

নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে চীনের উহান থেকে ৩১২ জন বাংলাদেশির প্রথম দলটিকে যে পাইলটরা উড়িয়ে এনেছেন, তাদের এখন ঢুকতে দিতে চাইছে না অন্য দেশ।
এই পরিস্থিতিতে আরও ১৭১ বাংলাদেশিকে উহান থেকে ফেরানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তার উপস্থিতিতে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সচিবালয়ে এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আরও ১৭১ জন বাংলাদেশি উহানে আছেন, যারা দেশে ফিরতে চান।
“সমস্যা হল, আমাদের প্লেন পাঠালে অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের যে প্লেনটা গিয়েছিল, আসার পরে এই পাইলটদেরকে কোনো দেশ ঢুকতে দিচ্ছে না।সেজন্য আলোচনা হয়েছে, দেখতে হবে চার্টার করা প্লেন যদি পাওয়া যায় দ্যাট উইল বি দ্য বেস্ট অপশন। চায়নিজ চার্টার করা প্লেন যদি আনা যায় সেটাকে ফার্স্ট প্রেফারেন্স দিতে হবে।’ চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। এরপর এক মাসে ৩৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ছড়িয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাসের কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে আপাতত নিরাপদ থাকার একমাত্র উপায় হল, যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বা এ ভাইরাস বহন করছেন- তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা এবং কিছু স্বাস্থ্য বিধি ও পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মেনে চলা।
এ ভাইরাস অন্যান্য দেশে ছড়াতে থাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করেছে। কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের চীন থেকে সরিয়ে নিয়েছে বা নিচ্ছে। কয়েকটি দেশ তাদের সীমান্তে চীনাদের জন্য কড়াকড়িও আরোপ করেছে। উহানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন বা গবেষণায় যুক্ত আছেন, এমন ৩১২ জন বাংলাদেশিকে গত শনিবার বিমানের একটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজে করে গত শনিবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তাদের কারও মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া না গেলেও সাবধানতার অংশ হিসেবে রাখা হয় ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে।

নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চীনের অবরুদ্ধ নগরী উহান থেকে দেশে ফেরানোদের শনিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাসে নিয়ে যাওয়া হয় আশকোনো হজ ক্যাম্পে, সেখানে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে তাদের।
নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চীনের অবরুদ্ধ নগরী উহান থেকে দেশে ফেরানোদের শনিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাসে নিয়ে যাওয়া হয় আশকোনো হজ ক্যাম্পে, সেখানে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে তাদের আনতে চারজন চিকিৎসক, চারজন ককপিট ক্রু ও ১১ জন কেবিন ক্রুকে পাঠানো হয়েছিল ওই উড়োজাহাজে। সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক, সানিটাইজার, ডিসপোজেবল গাউনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামও তাদের সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল।

সংবাদমাধ্যমে আসা খবর অনুযায়ী, ‘আকাশ প্রদীপ’ নামের বিমানের ওই উড়োজাহাজকে ১২ ঘণ্টা ধরে স্প্রে করে ‘জীবাণুমুক্ত’ করা হয়েছে। কিন্তু এখন জটিলতা বেঁধেছে ওই ফ্লাইটের পাইলটদের নিয়ে। তাদের অন্য দেশ ঢুকতে দিতে রাজি না হওয়ায় অন্য কোনো পাইলটকে আর চীনে পাঠানোর ঝুঁকি নিতে পারছেন না বাংলাদেশ। ফলে দেশে ফেরতে আগ্রহী ১৭১ বাংলাদেশিকে উহানেই অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আমাদের এম্বেসিকে বলা হচ্ছে- তোমরা যোগাযোগ কর, দেখ কী হয়। প্লেন তো পাঠানো যাচ্ছে না, কারণ আমাদের প্লেন পাঠালে যে ক্রুরা যাবে, তাদেরকে বাইরে ভিসা দেয় না। অলরেডি সিঙ্গাপুর না করে দিয়েছে এই ক্রুরা (যারা চীনে গিয়েছিল) আমাদের এখানে আসতে পারবে না।”
এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘২০/২৫ জনকে নিয়ে’ করোনাভাইরাস বিষয়ে আলোচনা করেন। ‌সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে- যেভাবেই হোক, এটাকে (করোনাভাইরাস) আমাদের দেশে ঢোকা প্রতিরোধ করতে হবে।… চীন থেকে যারা ফিরবেন, তাদের অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। কারণ আমরা এটা নিয়ে তো রিস্ক নেব না।
“অলরেডি যে ৩১২ জন এসেছেন (চীনের উহান থেকে) তাদেরকে হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সবকিছু দেওয়া হচ্ছে। ইনিশিয়ালি তারা বোধহয় বুঝতে পারেননি তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তারা ভাবছেন ছেড়ে দেবে, বাড়িতে চলে যাবে। ইয়ং ছেলেরা প্রথমে জানতেও চাচ্ছিল, আমাদের কেন আটকে রাখা হয়েছে? তাদের বোঝানো হল এটা তো হাইলি রিস্কি।”

নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে চীনের উহান থেকে ৩১২ জন বাংলাদেশির প্রথম দলটিকে যে পাইলটরা উড়িয়ে এনেছেন, তাদের এখন ঢুকতে দিতে চাইছে না অন্য দেশ।
এই পরিস্থিতিতে আরও ১৭১ বাংলাদেশিকে উহান থেকে ফেরানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তার উপস্থিতিতে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সচিবালয়ে এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আরও ১৭১ জন বাংলাদেশি উহানে আছেন, যারা দেশে ফিরতে চান।
“সমস্যা হল, আমাদের প্লেন পাঠালে অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের যে প্লেনটা গিয়েছিল, আসার পরে এই পাইলটদেরকে কোনো দেশ ঢুকতে দিচ্ছে না। সেজন্য আলোচনা হয়েছে, দেখতে হবে চার্টার করা প্লেন যদি পাওয়া যায় দ্যাট উইল বি দ্য বেস্ট অপশন। চায়নিজ চার্টার করা প্লেন যদি আনা যায় সেটাকে ফার্স্ট প্রেফারেন্স দিতে হবে।’ চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। এরপর এক মাসে ৩৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ছড়িয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাসের কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে আপাতত নিরাপদ থাকার একমাত্র উপায় হল, যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বা এ ভাইরাস বহন করছেন- তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা এবং কিছু স্বাস্থ্য বিধি ও পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মেনে চলা।
এ ভাইরাস অন্যান্য দেশে ছড়াতে থাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করেছে। কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের চীন থেকে সরিয়ে নিয়েছে বা নিচ্ছে। কয়েকটি দেশ তাদের সীমান্তে চীনাদের জন্য কড়াকড়িও আরোপ করেছে। উহানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন বা গবেষণায় যুক্ত আছেন, এমন ৩১২ জন বাংলাদেশিকে গত শনিবার বিমানের একটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজে করে গত শনিবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
তাদের কারও মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া না গেলেও সাবধানতার অংশ হিসেবে রাখা হয় ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে।
নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চীনের অবরুদ্ধ নগরী উহান থেকে দেশে ফেরানোদের শনিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাসে নিয়ে যাওয়া হয় আশকোনো হজ ক্যাম্পে, সেখানে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে তাদের।
নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চীনের অবরুদ্ধ নগরী উহান থেকে দেশে ফেরানোদের শনিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাসে নিয়ে যাওয়া হয় আশকোনো হজ ক্যাম্পে, সেখানে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে তাদের। তাদের আনতে চারজন চিকিৎসক, চারজন ককপিট ক্রু ও ১১ জন কেবিন ক্রুকে পাঠানো হয়েছিল ওই উড়োজাহাজে। সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক, সানিটাইজার, ডিসপোজেবল গাউনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামও তাদের সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল।
সংবাদমাধ্যমে আসা খবর অনুযায়ী, ‘আকাশ প্রদীপ’ নামের বিমানের ওই উড়োজাহাজকে ১২ ঘণ্টা ধরে স্প্রে করে ‘জীবাণুমুক্ত’ করা হয়েছে। কিন্তু এখন জটিলতা বেঁধেছে ওই ফ্লাইটের পাইলটদের নিয়ে। তাদের অন্য দেশ ঢুকতে দিতে রাজি না হওয়ায় অন্য কোনো পাইলটকে আর চীনে পাঠানোর ঝুঁকি নিতে পারছেন না বাংলাদেশ। ফলে দেশে ফেরতে আগ্রহী ১৭১ বাংলাদেশিকে উহানেই অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আমাদের এম্বেসিকে বলা হচ্ছে- তোমরা যোগাযোগ কর, দেখ কী হয়। প্লেন তো পাঠানো যাচ্ছে না, কারণ আমাদের প্লেন পাঠালে যে ক্রুরা যাবে, তাদেরকে বাইরে ভিসা দেয় না। অলরেডি সিঙ্গাপুর না করে দিয়েছে এই ক্রুরা (যারা চীনে গিয়েছিল) আমাদের এখানে আসতে পারবে না।”
এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘২০/২৫ জনকে নিয়ে’ করোনাভাইরাস বিষয়ে আলোচনা করেন। ‌সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে- যেভাবেই হোক, এটাকে (করোনাভাইরাস) আমাদের দেশে ঢোকা প্রতিরোধ করতে হবে।… চীন থেকে যারা ফিরবেন, তাদের অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। কারণ আমরা এটা নিয়ে তো রিস্ক নেব না।
“অলরেডি যে ৩১২ জন এসেছেন (চীনের উহান থেকে) তাদেরকে হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সবকিছু দেওয়া হচ্ছে। ইনিশিয়ালি তারা বোধহয় বুঝতে পারেননি তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তারা ভাবছেন ছেড়ে দেবে, বাড়িতে চলে যাবে। ইয়ং ছেলেরা প্রথমে জানতেও চাচ্ছিল, আমাদের কেন আটকে রাখা হয়েছে? তাদের বোঝানো হল এটা তো হাইলি রিস্কি।”

Leave a Reply