মুসলিমবান্ধব পর্যটন বেড়ে উঠতে পারে বাংলাদেশেও

Share on Facebook

মঙ্গলবার
(১৪ই অক্টোবর) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মুসলিমবান্ধব পর্যটনের ওপর আয়োজন
করা হয় একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের। সেমিনারটির
আয়োজন করে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের অঙ্গ সংস্থা
স্ট্যাটিস্টিক্যাল, ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ ট্রেনিং সেন্টার ফর ইসলামিক কান্ট্রিজ। এই
সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী
মো. মাহবুব আলী এমপি। তিনি বলেন,
বাংলাদেশেও গড়ে উঠতে পারে অন্যতম জনপ্রিয় মুসলিমবান্ধব একটি পর্যটন গন্তব্য।
তিনি আরো বলেন, ‘মুসলিমবান্ধব পর্যটনের জন্য
প্রয়োজনীয় সব উপাদানই বাংলাদেশে বিদ্যমান রয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী
মাহবুব আলী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান সবসময়ই মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে যোগাযোগ এবং চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান রাখার
ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তার উদ্যোগেই বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের সদস্যপদ লাভ
করে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন গঠন করেন, আর তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার
কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম
বোর্ড গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে অত্যন্ত
আন্তরিক।’

মাহবুব
আলী আরো বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে মুসলিমবান্ধব পর্যটন
অন্যতম একটি দ্রুত বর্ধনশীল পর্যটন পণ্য। শুধু মুসলিম দেশেই নয়,
অস্ট্রেলিয়া,
তাইওয়ান,
কোরিয়া,
জাপান
এবং নিউজিল্যান্ডের মতো নন-মুসলিম দেশগুলোও এই পর্যটনের গুরুত্ব অনুধাবন করে
মুসলিমবান্ধব পর্যটন পণ্য এবং সেবার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। সারা
বিশ্বের মুসলিম পর্যটকদের আকর্ষণ করতে মুসলিমবান্ধব পর্যটনের বিকাশে তারা কাজ
করছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের মুসলিমবান্ধব পর্যটন বিকাশে
অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। আমাদের সারাদেশে নান্দনিক স্থাপত্যের মসজিদ,
ইসলামিক
প্রত্নতত্ত্ব স্থান, মাজার এবং বিভিন্ন ইসলামিক স্মারক
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। আমাদের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি।
তার সবই মুসলিমবান্ধব পর্যটন বিকাশে অনুকূল ভূমিকা রাখবে।’

সেনিনারে
উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব মো. মহিবুল হক। তিনি বলেন,
‘পর্যটন
শুধু একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই নিশ্চিত করে না,
তা একই
সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরি করে। একটি দেশের ইতিহাস ও
সংস্কৃতিকে জানার সুযোগ করে দেয়। আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে
পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছি।’

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রেখেছেন ওআইসির অঙ্গসংস্থা স্ট্যাটিস্টিক্যাল, ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল
রিসার্চ ট্রেনিং সেন্টার ফর ইসলামিক কান্ট্রিজের মহাপরিচালক নেবিল দাবুর ও
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস।

Leave a Reply