মাটির নীচে সংরক্ষিত ২০টি প্রাচীন কফিন আবিষ্কৃত হলো মিসরে

Share on Facebook

নীলনদের পশ্চিমে অবস্থিত নয়নাভিরাম লুক্সর শহরের
কাছের একটি কবরস্থানে খুঁজে পাওয়া গেছে ২০টি কাঠের কফিন। আল-আসাসিফ
নামের এই কবরস্থানটি প্রাচীণ ‘ভ্যালি
অব কিংস’ কিংবা রাজাদের উপত্যকার কাছাকাছি অবস্থিত। এর
অস্তিত্ব ছিলো ৬৬৪-৩৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রাচীন মিসরে।

এখানে আছে নতুন রাজ্যের ১৮তম রাজবংশের (১৫৫০-১২৯২খ্রিস্টপূর্ব)
প্রথমদিককার রাজাদের কবর। বিখ্যাত ফারাও তুতেনখামেন, আহমোস, হাটশেপ্সুত, তৃতীয় থুতমোস, তৃতীয় আমেনহোটেপ ও আখেনাটনের কবরও আছে
এখানেই।

মিসরের প্রত্নতত্ত্ব  মন্ত্রণালয় থেকে এই আবিষ্কারকে বর্ণনা করা হয়েছে সাম্প্রতিককালের সবচাইতে বড় ও গুরুত্ত্বপূর্ণ আবিষ্কার হিসেবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে গত ১৫ অক্টোবর আবিষ্কৃত এই কফিনগুলোর ছবি পোস্ট করেছে মিসরের প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয়। এর ক্যাপশনে লেখা ছিলো, ‘অক্ষত ও সিল দেওয়া কফিন।’
আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) একটি সংবাদ সম্মেলনে এর বিস্তারিত জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয় এই টুইটে।

কফিনগুলোর উজ্জ্বল রঙ ও
কারুকার্য দৃশ্যমান রয়েছে এখনো। বড় আকারের সমাধিতে কফিনগুলো দুইটি স্তরে স্তুপের
মতো করে রাখা ছিল অত্যন্ত সুরক্ষিতভাবে। কত সালে এগুলো মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল সে
সংক্রান্ত তথ্যও সেখানে রয়েছে। যদিও এখনো তা প্রকাশ করেনি মিসরের প্রত্নতত্ত্ব
 মন্ত্রণালয়।

তবে যে স্থানে পাওয়া গেছে
কফিনগুলো, তা প্রাচীন থিবস শহরের অংশ ছিলো। মিসরের প্রাচীন সভ্যতার রাজধানী ছিলো
থিবস। পূর্বকার স্থাপনাগুলো পরীক্ষা করে জানা যায় যে এগুলো ২০৮১-১৯৩৯
খ্রিস্টপূর্বাব্দের। সে সময়ে মিসরের শাসক ছিলো ১১তম রাজবংশ।

কিছুদিন আগে প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রাচীন মিসরের
(১৫৩৯ খ্রিষ্টপূর্ব-১২৯২ খ্রিষ্টপূর্ব) ৩০টি কারখানা আবিষ্কার করেন, যেখানে রাজাদের সমাধির জন্য শেষকৃত্যের আসবাব তৈরি করা হতো। একই স্থানে
একটি বিশাল চুল্লি পাওয়া যায়। মৃৎশিল্প ও ধাতুর জিনিসপত্র তৈরিতে এটি ব্যবহার
করতেন মিসরীয়রা।

একজন পুরাতত্ত্ববিদ
বলেন, রাজকীয় কফিন ও কবরের তৈজসপত্র তৈরিতে কি কি যন্ত্রপাতির ব্যবহার
করা হতো সে সম্পর্কে নতুন করে তথ্য জানা যাচ্ছে এই কারখানাগুলোর আবিষ্কারের ফলে।

ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে ‘ভ্যালি অব কিংস’ কিংবা রাজাদের উপত্যকায় প্রত্নতাত্ত্বিক মিশন চালাচ্ছে মিসরের প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয়। সেখানে রাণী নেফারতিতি ও তার মেয়ের (রাজা তুতেনখামেনের বিধবা স্ত্রীও ছিল) কবর খুঁজছে তারা। এছাড়াও প্রত্নতত্ত্ববিদরা সেখানে কবরস্থানটিতে ৩জন প্রধান ফারাও অষ্টম রামাসিস, রাজা দ্বিতীয় থুতমোস ও রাজা আমেনহোটেপের কবর খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

Leave a Reply