বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড রুটে চালু হচ্ছে নতুন ফ্লাইট

Share on Facebook

আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড রুটে নতুন ফ্লাইট চালু করছে থাই লায়ন এয়ার। থাইল্যান্ড ভিত্তিক এই বাজেট বিমান কোম্পানিটি সপ্তাহের প্রতিদিনই ব্যাংককের ডং মুং এয়ারপোর্ট থেকে উড়ে এসে ল্যান্ড করবে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। কিন্তু ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে প্রতি রবি, মঙ্গল, বুধ ও শুক্রবার।

গত শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর)  রাজধানীর গুলশানে একটি অভিজাত হোটেলে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে থাই লায়ন এয়ারের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান দারসিতো হেন্দ্রো সেপুত্রো উপস্থিত ছিলেন।

সপ্তাহের শনি, সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১২টায় ব্যাংকক থেকে ছেড়ে ঢাকায় এসে পৌঁছবে রাত সোয়া ১টায়। আর রবি, মঙ্গল, বুধ ও শুক্রবার রাত সোয়া ২টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট ছেড়ে ডং মুং এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছবে ব্যাংকক স্থানীয় সময় ভোর সোয়া ৫টায়।

আবার রবি, বুধ ও শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ব্যাংকক ছেড়ে ঢাকায় এসে পৌঁছবে স্থানীয় সময় দুপুর ২টায়। এবং একই দিনে বিকেল ৩টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে ব্যাংক এসে পৌঁছবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরুর পর থাই লায়ন এয়ার এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজারটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সফলভাবে পরিচালনা করেছে। বর্তমানে বিমান সংস্থাটির বোয়িং ৭৩৭-৯০০(২১৫ আসনবিশিষ্ট), বোয়িং ৭৩৭-৮০০(১৮৯ আসনবিশিষ্ট), বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ এয়ারক্র্যাফট (২১৫ আসনবিশিষ্ট), এ৩৩০-৩০০ মডেলের এয়ারবাস(৩৯২ আসনবিশিষ্ট), সহ মোট বিমান রয়েছে ৩২টি।

সুত্র জানায়, থাই লায়ন এয়ার থাইল্যান্ডের অভ্যান্তরে ১৩টি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে নিয়মিতভাবে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর মধ্যে চায়নার ১৭টি গন্তব্য ছাড়াও রয়েছে মুম্বাই, জাকার্তা, সিঙ্গাপুর, হ্যানয়, তাইপে, ইয়াঙ্গুন ও কাঠমান্ডু। সুতরাং ঢাকা থেকে শুধু থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরেই নয় অন্যান্য দেশেও (অন ওয়ার্ড) সহজ ও সাশ্রয়ীভাবে ভ্রমণ করা যাবে থাই লায়ন এয়ারের মাধ্যমে।

থাই লায়ন এয়ারের টিকেটের সাথে ২০ কেজি লাগেজ থাকবে কমপ্লিমেন্টারি। ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা ফ্লাইটের টিকেটের দাম পড়বে ১৬,০৯৯ টাকা থেকে শুরু।

দিনে দিনে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে হয়ে উঠছে জনপ্রিয় গন্তব্য। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশী পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্য ছিল ব্যাংকক আর পাতায়া। এখন সেই তালিকায় যোগ হয়েছে থাইল্যান্ডের অন্যান্য পর্যটন গন্তব্যগুলো যেমন, ফুকেট, ক্রাবি, চিয়াং মাই, কোহসামুই ইত্যাদি। থাই লায়ন এয়ারের ফ্লাইট যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে দুই দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন বিমান কোম্পানিটির চেয়ারম্যান  দারসিতো হেন্দ্রো সেপুত্রো। পাশাপাশি দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

Leave a Reply