বর্ষসেরা ভবন নেদারল্যান্ডসের পাবলিক লাইব্রেরি

Share on Facebook

বৈচিত্র্যময়তার সুবাদে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিশ্ব স্থাপনা উৎসবে প্রায় ১৫০ স্থপতি, ডিজাইনার ও শিক্ষাবিদের একটি বিচারক প্যানেলের রায়ে বর্ষসেরা ভবনের স্বীকৃতি পেয়েছে লকহল পাবলিক লাইব্রেরি। এটি নেদারল্যান্ডসের তিলবার্খে অবস্থিত।

১৯৩২ সালে এই জায়গাটি ছিল রেলগাড়ির ইঞ্জিন রাখার হ্যাঙ্গার। পরবর্তীতে এটি সর্বসাধারণের চলাচলের স্থানে রূপান্তরিত হয়। এখন এটি পাবলিক লাইব্রেরি ও শিল্প ভাগাভাগির জায়গা। এখানে বিভিন্ন সেমিনার ও উন্মুক্ত অনুষ্ঠান আয়োজনের জায়গা আছে। এছাড়াও গবেষণার জন্য আছে ল্যাব।

ডব্লিউএএফ (ওয়ার্ল্ড আর্কিটেকচার ফেস্টিভ্যাল) জানিয়েছে, উচ্ছেদ করে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও এটি অর্থবহ ভবনে রূপ নেওয়ায় বিচারকরা মুগ্ধ হয়েছেন সবচাইতে বেশি। বিভিন্ন উদ্দেশে নানান বয়সীদের কাজের ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করবার উপযোগী করে তোলা হয়েছে জায়গাটিকে। একদিক দিয়ে এই ভবনটি পরিণত হয়েছে সামাজিক কনডেন্সারে।

বিশ্ব স্থাপনা উৎসবের এবারের আসরে জমা পড়ে ১০০টি ভবনের নাম। এর মধ্য থেকে সেরা হয় লকহল পাবলিক লাইব্রেরি। ফাইনালে আরও ছিল নিউজিল্যান্ডের ঢেউ আকৃতির বিলাসবহুল হোটেল লিন্ডিস লজ ও কাঠের তোরণ দেওয়া ফিলিপাইনের মাক্তান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

আবাসিক, জনবহুল ও বাণিজ্যিক স্থাপনায়, মোট ১৮টি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে আছে বার্সেলোনার স্পোর্টস সেন্টার থেকে শুরু করে টোকিওর বিশ্ববিদ্যালয় ভবন।

২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বিশ্ব স্থাপনা উৎসব। প্রতিবছর আবাসিক, জনবহুল ও বাণিজ্যিক স্থাপত্যের সৌন্দর্য্য ও ব্যবহারের সচেতনতার জন্য বিভিন্ন নান্দনিক স্থাপনাকে দেয়া হয় পুরস্কার। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডার্মে হয়ে গেলো এই আয়োজন।

গত বছর সর্বোচ্চ সম্মাননা পেয়েছিল সিঙ্গাপুরের সবুজময় অভিনব হাউজিং কমপ্লেক্স কামপুঙ অ্যাডমিরাল্টি। একই দেশের অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স দ্য ইন্টারলেস ওয়ার্ল্ড বিল্ডিং অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতেছিল।

Leave a Reply