পুঠিয়া প্যালেস ও মন্দির

Share on Facebook

পুঠিয়ার রাজবংশের ইতিহাস মুঘল সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে শুরু হয়ে মহারানী হেমন্তকুমারীর মৃত্যুর পর জমিদার প্রথা বিলীন হওয়া পর্যন্ত ছিল। এই শাসনকাল চলাকালীন সময়ে পুঠিয়ার জমিদার/রাজাগণ তাদের প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা এবং ধর্মীয় কার্যাদি সম্পন্নের জন্য বিভিন্ন স্থাপত্য কাঠামো ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মন্দির নির্মাণ করেন, যা আজও কালের সাক্ষী হিসাবে টিকে আছে। পুঠিয়ায় অবস্থিত অধিকাংশ মন্দিরে পোড়ামাটির ফলক স্থাপিত আছে। এখানকার পুরাকীর্তির মধ্যে পুঠিয়া রাজবাড়ী, চারআনি রাজবাড়ী ও ১৩টি মন্দির রয়েছে। পুঠিয়ার প্রত্ননিদর্শনের মধ্যে ১৪টি স্থাপনা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসাবে ঘোষনা করেছে। ১৮৯৫ সালে হেমন্তকুমারী দেবী ইন্দো – ইউরোপিয়ান আদলে বর্তমানের পুঠিয়া রাজবাড়িটি নির্মাণ করেন।অসাধারন অলঙ্করণ সমৃদ্ধ এই রাজবাড়ির আরেক নাম পাঁচআনি জমিদারবাড়ি।এই জমিদারবাড়িকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল, এগুলো হলো, গোবিন্দ মন্দির, ছোট আহ্নিক মন্দির, ছোট শিব মন্দির, দোল মন্দির, বড় শিব মন্দির, জগন্নাথ/রথ মন্দির। এই মন্দিরগুলো ১৮ শতাব্দীর শুরুর থেকে মধ্যবর্তী সময়ে নির্মাণ করা হয়। পুঠিয়া রাজবাড়ি থেকে ১২৫ মিটার পশ্চিমে পুঠিয়ার চারআনি জমিদারবাড়ি অবস্থিত, এখানে বড় আহ্নিক,ছোট গোবিন্দ ও গোপাল মন্দির নামে পরিচিত পাশাপাশি ৩টি মন্দির আছে। মন্দিরগুলো ১৭ থকে ১৮শতকের মধ্যবর্তী সময়ে নির্মিত।

Image result for পুঠিয়া প্যালেস ও মন্দির

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সরাসরি রাজশাহীর বাস রয়েছে। পুঠিয়া বাজার (রাজশাহী থেকে ২৫ কি্লোর মত আগে) বাস থেকে নামতে হবে। নেমে রিকশা নিয়ে দেড় কিলোমিটারের মাঝেই পুঠিয়া প্যালেস সহ সব গুলো মন্দির ঘুরে দেখা যাবে।

 

কোথায় থাকবেন

পুঠিয়াতে তেমন ভাল কোন থাকার ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। রাজশাহী সদর খুব কাছে হওয়াতে রাজশাহীতে থেকে পুঠিয়া ঘুরতে গেলে বা পুঠিয়া ঘুরে রাজশাহীতে গিয়ে থাকা যাবে খুব সহজে। রাজশাহীতে বিভিন্ন মানের অনেক আবাসিক হোটেল রয়েছে।

Leave a Reply