ঘুরে আসুন ময়না চর

Share on Facebook

ময়মনসিংহ শহরের অতি নিকটেই জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরত্বে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ মোড়ের দক্ষিণে গৌরীপুরের ভাংনামারি ইউনিয়নের অনন্তগঞ্জ বাজার সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত ব্রহ্মপুত্রের দু’টি ধারা দু’দিকে বেশ কিছু দূর গিয়ে আবার একই ধারায় মিলিত হয়েছে। এর মাঝে তৈরি হয়েছে একটি বৃহৎ ব-দ্বীপের।এই দ্বীপটিকে সবাই ময়নার চর(Mayna Dip) বলে ডাকত। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কর্মী ময়না মিয়া এই এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি এই চরে গরু চরাতেন । নদে মাছ ধরতেন। অবসরে চরের বুনো গাছের তলায় শীতল হতেন। বাঁশির সুরে ঢেউ তুলতেন। সেই সুর শুনে লোকজন ছুটে আসলে সবার মাঝে ব্রিটিশদের তাড়ানোর মন্ত্র দিতেন। এরপর লোকমুখে ধীরে ধীরে এর নাম হয়ে যায় ময়নার চর। আবার এই চরে এক সময় প্রচুর ময়না পাখির বাস ছিল। ছিল পাখিদের অভয়ারণ্য। এখনো এখানে প্রচুর দেশীয় পাখির দেখা পাওয়া যায়।

Image result for ময়না চর

কীভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বাসে কিংবা ট্রেনে দুই পথেই ময়মনসিংহে যাওয়া যায়। কার বা মাইক্রো নিয়েও যাওয়া যাবে।

ময়মনসিংহ মাসকান্দা বাসস্টান্ড থেকে রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা কিংবা সিএনজিতে যেতে হবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ মোড়। এখানে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দেবে ময়না দ্বীপ।

 

কোথায় থাকবেন

এখানে থাকার কোন জায়গা নেই। তবে যদি ময়মনসিংহ শহরে থাকতে চান তাহলে স্থানীয় অনেক হোটেল আছে।

Image result for ময়না চর

কী খাবেন

ময়না দ্বীপের আশপাশে কোনো প্রকার খাবার দাবারের দোকান পাওয়া যাবে না। সারাদিন থাকতে চাইলে খাবার সঙ্গেই নিয়ে যেতে হবে। ঢাকা থেকে গেলে ময়মনসিংহ শহরে নেমে যেকোনো হোটেল বা রেস্টুরেন্টে খেয়ে নিতে পারেন।

কম খরচের মধ্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড়ে সাধারণ মানের হোটেলে বসেও নানা রকমের সুস্বাদু দেশীয় তরকারি বা ভর্তা পাবেন। চাইলে এখানে হাঁসের, কবুতরের মাংস খেতে পারেন।

 

Leave a Reply