ঘুরে আসুন মায়াবী দ্বীপ মনপুরা থেকে

Share on Facebook

মনপুরা দ্বীপ হচ্ছে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর এলাকার উত্তরদিকে মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলায় কিছুটা অংশ জুড়ে অবস্থিত।   এই দ্বীপের আয়তন ৩৭৩ বর্গ কিলোমিটার। এই দ্বীপের উপকূলীয় অন্যান্য দ্বীপের মধ্যে ভোলা, যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ এবং হাতিয়া দ্বীপ।

বাংলাদেশের বৃহওম দ্বীপ ভোলা জেলার মুল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা। উত্তাল মেঘনার কোল ঘেসে জেগে ওঠা তিনদিকে মেঘনা আর একদিকে বঙ্গোপসাগরবেষ্টিত অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ সাজে সজ্জিত লীলাভূমি মনপুরা। এখানে না গেলে বোঝাই যাবেনা সবুজের দ্বীপ মনপুরায় কি সৌন্দর্য লুকায়িত আছে। পর্যটনের কি অপার সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে পুরানো এ দ্বীপে। প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো এই দ্বীপটি। পর্তুগিজরা এই দ্বীপে বসবাস করেছিলো।

এই সুন্দর দ্বীপটিতে সুর্যোদয় ও সূর্যাস্ত প্রত্যক্ষ করা যায়। এটি ভোলা জেলা সদর থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিন পূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে মেঘনার মোহনায় চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। মনপুরা উপজেলা প্রায় লক্ষাধিক মানুষের  বসবাস রয়েছে।

এখানে আরো আছে মনপুরা ল্যান্ডিং স্টেশন, হরিণের অভয়াশ্রম ও চৌধুরী প্রজেক্ট।  মনপুরা ল্যান্ডিং স্টেশনটি নদীর ৫০০ মিটার ভিতরে তৈরি করা। এখানে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধু পর্যটকরা না, স্থানীরাও সময় কাঁটাতে আসে ।

এই দ্বীপের আলমবাজারে হরিণের অভায়াশ্রম রয়েছে । এইসব হরিণগুলো জোয়ারের সময় প্রধান সড়কের দিকে চলে আসে। স্থানীয় লোকজনের মতে, হরিণের দলগুলো যখন রাস্তা পার হয় তখন ২-৩ মিনিট পর্যন্ত মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে রেখে অপেক্ষা করতে হয়। আপনার ভাগ্যে থাকলে আপনিও দেখা পেয়ে যেতে পারেন হরিণের রাস্তা পারাপার ।

দ্বীপে চৌধুরী প্রজেক্টে আছে লেক। লেকের পাড় জুড়ে সারি সারিভাবে নারিকেলের গাছ দাড়িয়ে আছে । পাড়ের একপাশে লেক অন্য পাশে মেঘনা রয়েছে ।এখানে পর্যটকদের  বিকালের সময়টা খুবই চমৎকার কাটবে । এছাড়াও বাধেরহাটের পাশে রয়েছে কয়েকটি মাছ চাষের দিঘি, বিশাল কেওড়া বাগান।

যানবাহন:

এ দ্বীপে চলাচলের জন্য  প্রধান যানবাহন হচ্ছে মোটরসাইকেল। এছাড়া রয়েছে টেম্পু গাড়ি,অটোরিকশা, বোরাক। সাইক্লিং করার জন্য এই দ্বীপটি  খুবই উপযোগী।

কখন যাবেন:

শীতকাল মনপুরা ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযোগী সময়।

কিভাবে যাবেন:

মনপুরা বিছিন্ন দ্বীপ হওয়াতে যখন তখনই আপনি যেতে পারবেন না। তাসরিফ -১ও তাসরিফ -২। এছাড়া এমভি ফারহান-৩/এমভি ফারহান-৪ নামে দুটি বিলাশ বহুল লঞ্চ রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের ১০ নাম্বার প্লাটুন থেকে প্রতিদিন বিকাল পাঁচটায় হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এই লঞ্চ করে আপনি সকাল ৭ টা নাগাদ মনপুরা দ্বীপে পৌঁছতে পারবেন। সময় লাগবে ১২/১৩ ঘন্টা। লঞ্চের ডেকের ভাড়া জনপ্রতি ১৫০-২০০ টাকা, কেবিন ভাড়া ৮০০-১০০০ টাকা।

Leave a Reply