ঘুরে আসুন প্রেম যমুনার ঘাট

Share on Facebook

বগুড়া শহর থেকে ২২ কিলোমিটার পূর্বে সারিয়াকান্দিতে অবস্থিত ভ্রমণস্পট “প্রেম যমুনার ঘাট”।যমুনা নদী এবং এই বাঁধের সৌন্দর্য একসাথে মিলেমিশে এখানে তৈরি হয়েছে এক অনিন্দ সুন্দর ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। এটা সেই প্রেম যমুনার ঘাট যেখানে প্রকৃতি প্রেমিকদের খেলা-লীলা চলে প্রতিনিয়ত। সারিয়াকান্দির যমুনার এই স্থানটি ঘিরে পর্যটক সৃষ্টি করেছে বন্যা প্রতিরোধক কালীতলার এই গ্রোয়েন বাধটি।

এখানে নদীতে ভ্রমণের জন্য আছে ছই ছাড়া এবং ইঞ্জিনের নৌকা। ইচ্ছা করলেই ঘুরে আসা যায় ওই পাড়ের চর থেকে। যমুনার বুকে প্রেম যমুনার ঘাটটিই সবচেয়ে সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন ঘাট। নদীতে ভ্রমণের সময় হঠাৎ করে পেয়ে যেতে পারেন ছোট বড় অনেক চর। এমন চর পেয়ে গেলে সেখানে নেমে গোসলও করতে পারেন মনের আনন্দে। এটি হতে পারে আপনার জীবনের একটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা। গোসলের সময় হয়তো আপনার মুখ থেকে অবলীলায় বেড়িয়ে আসবে বিখ্যাত সেই গান ‘আরে যমুনার জল দেখতে কালো স্নান করিতে লাগে ভাল’। এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে একদিকে সরকারী রাজস্ব আয় হবে অন্যদিকে দর্শনার্থীরা বেড়াতে এসে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

Image result for প্রেম যমুনার ঘাট

সারিয়াকান্দির কালিতলা, দীঘলকান্দি ও দেবডাঙ্গায় গত ২০০০ সালে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে  পানি উন্নয়ন বোর্ড ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষার্থে গ্রোয়েন বাধ নির্মাণ করা হয়। গ্রোয়েন বাধ গুলো নির্মাণের ফলে যমুনা নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে সারিয়াকান্দি রক্ষা হয়েছে অন্যদিকে স্থাপনাগুলি নদীর তীরে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে চলেছে। স্থানীয় অধিবাসীগণ আগত দর্শনার্থীদের যথাসাধ্য আদর আপ্যায়ন করে থাকেন। সরকারীভাবে আগত দর্শনার্থীদের জন্য কোন সুযোগ সুবিধা এখানে নেই বললেই চলে। আগত দর্শনার্থীরা এই এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানান।

Image result for প্রেম যমুনার ঘাট

যেভাবে যেতে হবে

আপনাকে প্রথমে ঢাকা বা আপনার নিজস্ব ঠিকানা থেকে যেতে হবে বগুড়া। ঢাকা থেকে বগুড়া আসার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হল বাস। বগুড়ায় ট্রেনে যাওয়ার পরিকল্পনা অংকুরেই বিনাশ করেন। মার্সিডিজ বেঞ্জ, গ্রীন লাইন, ভলভো থেকে শুরু করে ‘মফিজ”’ গাড়ি সবই পাবেন ঢাকা-বগুড়া রুটে। তবে এই রুটের সবচে ভাল (ইকোনমি + ভাল মান) গাড়ি হল এস আর ট্রাভেলস, টিআর ট্রাভেলস, শ্যামলী ইত্যাদি। যাবেন ঢাকার কল্যাণপুর থেকে। নামবেন ঠনঠনিয়া আন্তঃজেলা কোচ টার্মিনালে।

শহর থেকে বাসে কিংবা সিএনজি বেবিট্যাক্সি কিংবা নিজস্ব গাড়ি করে সোজা যেতে পারেন সারিয়াকান্দি। বগুড়া থেকে মাত্র ২২ কি.মি. দুরত্ব সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট।

 

কোথায় থাকবেন

থাকার জন্য বগুড়ায় আপনার জন্য আছে হোটেল নাজ গার্ডেন (ফোর স্টার মানের), পর্যটন মোটেল (বনানী মোড়ে), সেফওয়ে মোটেল (চারমাথা), নর্থওয়ে মোটেল (কলোনী বাজার), সেঞ্চুরি মোটেল (চারমাথা), মোটেল ক্যাসল এম এইচ (মাটিডালি)। এগুলো প্রত্যেকটাই শহরের বাইরে, নিরিবিলি পরিবেশে। আর শহরের মধ্যেও অনেক হোটেল আছে তার মধ্যে একেবারে শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হোটেল আকবরিয়া অন্যতম। নবাব বাড়ি রোডেও আছে কয়েকটি হোটেল। বেছে নিন যে কোন একটি।

 

Leave a Reply