ঘুরে আসতে পারেন যমুনা রিসোর্ট

Share on Facebook

বঙ্গবন্ধু বহুমুখী যমুনা সেতুর নিকটবর্তী যমুনা নদীর কোল ঘেঁষে পূর্ব পাশে  যমুনা  রিসোর্ট অবস্থিত। রিসোর্টে ব্যক্তিগত ভ্রমণ, পারিবারিক ট্যুর, পিকনিক, বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠানের সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ ঈদ, পহেলা বৈশাখ, ইংরেজী বর্ষবরণ ও থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।

রিসোর্টের ভিতরে আছে জীমনেশিয়াম, বেকারী, স্যুভেনীর শপ আর আছে ইনডোর ও আউটডোর গেমসের ব্যবস্থা। আউটডোর গেমসের মধ্যে ফুটবল, ক্রিকেট আর ইনডোর গেমসের ব্যাডমিন্টন, হকি ও দাবা খেলার ব্যবস্থা। বন্য হরিণ আর অনেক প্রজাতির পাখিরও অভয়ারণ্য এই রিসোর্টটি। এছাড়া কেঁউ নৌভ্রমনে যেতে চাইলে তারা লাইফবোট ও স্পীডবোটে ঘুরতে পারবেন।

Image result for যমুনা রিসোর্ট

আবাসন ব্যবস্থা ও প্যাকেজ

থাকার জন্য এখানে আছে ডিলাক্স এক্সিকিউটিভ সুইট, রয়্যাল সুইট, টু বেডরুম কটেজ, থ্রি বেডরুম কটেজ এবং ডরমেটরী। বিভিন্ন উৎসব, বিষেশত পয়লা বৈশাখ, ঈদ ও নিউ ইয়ার্স ইভ উপলক্ষে এখানে নানাধরনের প্যাকেজ আছে। এই প্যাকেজগুলোর মাথাপিছু খরচ ৪হাজার টাকা। কর্পোরেট টুরের ব্যবস্থাও এখানে করা হয়ে থাকে। এছাড়া যারা কোনোরকম পার্টি এরেঞ্জ করতে চান, তাদের জন্যও এটি একটি ভালো অপশান হতে পারে। চাইলে নিজেরা বা রিসোর্ট কর্তৃপক্ষকে দিয়ে এসকল আয়োজন করা যেতে পারে। কর্পোরেট প্যাকেজের খরচ ১লাখ ৫০ হাজার থেকে ১২লাখ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

 

খাওয়া-দাওয়া

এই রিসোর্টে এদের ১৫০জন ধারনক্ষমতা সম্পন্ন নিজস্ব রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যেখানে সকালের নাস্তা এবং দুপুর ও রাতের খাবার পাওয়া যাবে।

 

যেভাবে যাবেন

যমুনা রিসোর্টে আপনি চাইলে নিজস্ব গাড়িতে যেতে পারেন আবার বাস অথবা ট্রেনেও যেতে পারেন।

ঢাকার গাবতলী ও মহাখালি থেকে টাংগাইলের বাসে করে যেতে পারেন। অথবা কমলাপুর রেলস্টেশান থেকে ট্রেনেও যেতে পারেন। ট্রেনে গেলে যমুনা সেতু পৌছানোর আগের স্টেশানেই আপনাকে নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে রিক্সায় যমুনা রিসোর্ট পৌছাতে পারেন। অথবা ভুইঞাপুর উপজেলা থেকে সিএনজি বা ভ্যান দিয়ে যমুনা সেতু বাজার থেকে ২০-৪০ টাকা ভাড়া দিয়ে যেতে পারেন।

 

Leave a Reply