ঘুরে আসতে পারেন বিছনাকান্দির পাথর রাজ্যে

Share on Facebook

একঘেঁয়ে জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে মহৌষধের মতো কাজ করে বিছনাকান্দির পাথর রাজ্য। মেঘালয় পাহাড় থেকে প্রবাহিত ঝর্না ধারায় বয়ে আসা পিয়াইন নদীতে গরমের অস্বস্তি থেকে প্রকৃতির কোলে শান্তি পেতে চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন বিছনাকান্দি।তবে পানি কমে গেলে স্নান করতে না পারলে একটা আপসোস নিয়ে ফিরতে হবে আপনাকে। তাই যারা একবার আসার প্লান করছেন তাদের অবশ্যই খোঁজ-খবর নিয়ে আসতে হবে।

 

যা দেখবেন

বিশাল সবুজ মেঘালয় পাহাড়কে দুই ভাগ করে সীমান্তের অপার থেকে নেমে এসেছে স্বচ্ছ জলের ঝরনা। বর্ষায় এই জল নিয়ে আসে মূল্যবান পাথর। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্ট যেন এক পাথরের বাগান। পাহাড়ি ঝরনার গতিপথে অসংখ্য ছোটবড় পাথর। তারের মতো স্বচ্ছ পানির নিচের পাথরগুলোও যেন আপনাকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত।

আর স্বচ্ছ জলে খুব ছোটছোট মাছের ছুটাছুটিও চোখে পড়ে। ঝরনাটি গিয়ে মিশেছে পিয়াইন নদের সাথে। উপরে তাকালেও অপার বিস্ময়! সুনীল আকাশের নিচে সবুজে ঢাকা বিশাল পাহাড় যেকারো হৃদয় নাড়া দিয়ে যায়। তারই ঢালুতে ভারতীয় খাসিয়া পল্লী ও বাসিন্দাদের চোখে পড়ে। এখানে পর্যটকদের ছবি তুলে দিতে কাজ করছে মেঘালয়-বিছনাকান্দি সমিতির প্রায় ১০০ জন তরুণ সদস্য।

পিয়াইনের দুই তীরে রয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ পাথর কোয়ারি-বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারি। সেখানে শত শত পাথর শ্রমিকের জীবনযুদ্ধও খুব কাছে থেকে দেখে আসতে পারেন। বর্ষায় নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের স্বচ্ছ পানিতে পিয়াইনের রূপ রীতিমতো অপরূপ হলেও বসন্তেও কিন্তু বিছনাকান্দি মুগ্ধ করছে হাজার হাজার পর্যটককে।

Image result for বিছনাকান্দির পাথর রাজ্য

যেভাবে যাবেন

রাজধানী থেকে বাস, ট্রেন বা বিমানযোগে আপনি সিলেট মহানগরীতে প্রবেশ করতে পারেন। সায়েদাবাদ-ফকিরাপুল থেকে দূরপাল্লার বাসে সিলেটের দক্ষিণ সুরমাস্থ কদমতলী যেতে আপনার খরচ পড়বে সাড়ে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। সেখান থেকে বন্দরবাজার যেতে রিকশায় খরচ হবে ৩০ থেকে ৫০ টাকা আর সিএনজি অটোরিকশায় ৭০ থেকে ১০০ টাকা। বন্দরবাজার থেকে সিএনজি অটোরিকশায় আম্বরখানা যেতে খরচ পড়বে জনপ্রতি ১০ টাকা। আম্বরখানা থেকে বিছনাকান্দি পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশা রিজার্ভ নিয়ে গেলে খরচ পড়বে এক হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা।

আর রিজার্ভ মিনিবাসে খরচ পড়বে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকার মধ্যে। তবে রিজার্ভ ছাড়াও যাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে আম্বরখানা থেকে সিএনজি অটোরিকশায় গোয়াইনঘাটের হাদারপার পর্যন্ত যেতে খরচ পড়বে জনপ্রতি ১২০ টাকা। সেখান থেকে বিছনাকান্দি পর্যটনকেন্দ্রে যেতে আবারও রিজার্ভ সিএনজি অটোরিকশা নিতে হবে। খরচ পড়বে ৩০০ টাকার মতো। আর মোটরসাইকেলে জনপ্রতি ১০০ টাকা।

Image result for বিছনাকান্দির পাথর রাজ্য

যেখানে থাকবেন

সিলেট শহরের বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, দরগাহ গেইট এলাকায় প্রচুর আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে থাকার খরচ পড়বে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এ ছাড়া কয়েকটি অভিজাত হোটেলও আছে।

 

সতর্কতা

হাদারপার থেকে বিছনাকান্দি পর্যন্ত কাঁচা রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। সতর্কতা অবলম্বন না করলেও যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তা ছাড়া দিনের আলোতেই শহরে ফিরে আসা উত্তম। রাতে ডাকাত-ছিনতাইকারীর কবলে পড়ার ঝুঁকি আছে। সাথে শহর থেকে খাবার নিয়ে যেতে পারলে ভালো। পর্যটনকেন্দ্রে একটি রেস্টুরেন্ট থাকলেও তার মান তেমন একটা ভালো নয়।

 

Leave a Reply