ক্রুজ শিপ দ্য ওয়েভ: সুন্দরবন ভ্রমণে আভিজাত্য

Share on Facebook

আবুল ফয়সাল মোহাম্মদ বাবু। রূপসা নদীর তীরে বেড়ে ওঠা সম্ভ্রান্ত পরিবারের টগবগে এক তরুনের নাম। পিতামাতার চার সন্তানের মধ্যে তিনিই প্রথম। পড়ালেখা করার পাশাপাশি সপ্তাহের প্রায় প্রতিটি সন্ধ্যা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতেন খুলনা ঘাট এলাকার আশেপাশে। এই ঘাট থেকেই প্রতি সপ্তাহে অন্তত দু’বার সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে পর্যটকদের নিয়ে ট্যুরিস্ট জাহাজগুলো ভেসে যায়।

পর্যটক বোঝাই জাহাজগুলো তিন দিনের জন্য চলে যায় সুন্দরবন। তিনি খেয়াল করলেন যাত্রার আগের রাতে উৎসবের আমেজে মুখর হয়ে উঠে ঘাট এলাকা। ট্যুর অপারেটরদের ব্যস্ততা যায় বেড়ে, সারারাত হাজার রকম কাজে-কর্মে সরব ঘাট। জাহাজের বাবুর্চি, সুকানি, বয় বেয়াড়া, ট্রলার চালক সহ গাইডের আজ যেনো দম ফেলবার সময় নাই। বাজার সদাই ঠিকমতো কেনা হলো কি না, জাহাজে যথেষ্ট পরিমানে তেল বোঝাই করা হলো কি-না, মাছ আর মাংস মজুদ করার জন্য বরফ কল থেকে যথেষ্ট বরফ আনা হলো কি-না এরকম কাজগুলো দেখভাল করতে করতেই বেজে যায় রাত বারোটা। এই যে যাত্রাকে কেন্দ্র করে মুখরতা, উৎসবের আমেজে দায়িত্বপালন- এসব তার মনে দাগ কাটে, তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। এই গভীর ডাককে ফিরিয়ে দেওয়া সবার পক্ষে সম্ভব নয়, তিনিও পারলেন না।

আবুল ফয়সাল মোহাম্মদ বাবু

এদিকে পর্যটক হওয়া যতটা সহজ, পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ আয়োজন ততটা কঠিন। সুন্দরবনে ভ্রমণ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা খুব সহজ নয়। এজন্য চাই সুন্দরবন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা, জোয়ার ভাটার হিসেব জানার বিকল্প নেই, প্রচলিত আইন ও বনবিভাগের নিয়ম নীতি শুধু জানলেই হবেনা রীতিমত মুখস্থ থাকতে হবে। এছাড়া নিরাপত্তা, পর্যটকদের মনস্তত্ব, ভ্রমণকে আরামদায়ক ‍ও স্ততিদায়ক করা আর মানসম্পন্ন করার বিষয়টি তো রয়েছেই। এসব হাতে কলমে শিখতে হলে নিজেকেই আগে হতে হবে পর্যটক, পর্যবেক্ষক এবং একই সঙ্গে গবেষক- এমন আত্নোপলদ্ধি থেকে বিভিন্ন পর্যটক গ্রুপের সাথে ভ্রমণ করেন সুন্দরবন। এসব ভ্রমণেই সুন্দরবনের মায়ার বন্ধনে বাঁধা পরেন তিনি, সুন্দরবনের সৌন্দর্য আর রোমাঞ্চ অন্য পর্যটকদের দেখাবার জন্য এক ধরণের আকুলতা বোধ করেন। এই আকুলতা আর ভালোবাসাকে ভিত্তি করে বাবার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় তিনি সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য নির্মাণ করেছেন ৫ তারকা মানের ক্রুজ শিপ দ্যা ওয়েভ।

ঘাটের মুখরতা দেখে পর্যটক বনে যাওয়া, এরপর মাত্র এক দশকে সুন্দরবনে পর্যটনের জন্য ৫ তারকা মানের ক্রুজ শিপ ‘দ্যা ওয়েভ’-এর নির্মাণ পর্যন্ত পথ পাড়ি দেওয়া অদম্য ও সাহসী এবং একই সাথে স্বপ্নপ্রিয় আবুল ফয়সাল মোহাম্মদ বাবুর সাথে পর্যটনিয়ার আড্ডার চৌম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো পাঠকদের জন্য।

পর্যটনিয়াঃ প্রথমেই অভিনন্দন জানাই পাঁচ তারকা মানের ক্রুজ শিপ দ্য ওয়েভ নির্মাণের জন্য। যেখানে পঞ্চাশ থেকে ষাট লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ট্যুরিস্ট ভেসেল নিয়ে সুন্দরবনে ট্যুর অপরেট করছে অনেকেই, সেখানে প্রায় ৫কোটি টাকায় ক্রজ শিপ নির্মাণ কি উচ্চাবিলাসী স্বপ্ন নয়?

ফয়সালঃ পর্যটনিয়া এবং এর পাঠকদের ধন্যবাদ।

সাধারণ দৃষ্টিতে যেখানে হয়তো পঞ্চাশ বা ষাট লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ট্যুরিস্ট ভেসেল (Tourist Vessel) নিয়ে ব্যবসা করা যায় সেখানে ব্যাক্তি মালিকানায় ৫কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রুজ শিপ নির্মাণকে ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে হবে। কিন্তু গত এক দশকের অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে- এটি ঝুঁকি নয়, এটি একটি ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ বিনিয়োগ।

পর্যটনিয়াঃ আপনার অভিজ্ঞতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জানতে চাইছি ফলপ্রসূ বিনিয়োগ বলতে কি বোঝোতে চাইছেন?

ফয়সালঃ একটু পেছনে তাকাই। এমভি ‘বন বিলাস’ নামে আমারও একটা ট্যুরিস্ট ভেসেল আছে। এই ভেসেল দিয়ে ব্যবসাও মন্দ হচ্ছেনা। ৫তারকা মানের ক্রুজ শিপ ‘দ্যা ওয়েভ’-এর বাজেট দিয়ে আরও ৮টা বন বিলাস নির্মাণ করা যেতো। কিন্তু সেগুলো দিয়ে ক্রুজ শিপের মত সেবা দেওয়া সম্ভব হতো না। ভেসেল আর ক্রুজ শিপের সেবায় আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

পর্যটনিয়াঃ আপনি ভেসেল আর শিপের মধ্যে সেবা দেয়ার সামর্থ্যর পার্থক্যকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, কিন্তু পর্যটকদের মনস্তত্ব কি?

ফয়সালঃ  ঠিক তাই। গত এক দশকের অভিজ্ঞতায় দেখছি প্রতিবছর সুন্দরবনে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটকদের অধিকাংশই একটি আরামদায়ক ভ্রমণ চান। আনন্দ ভ্রমণে আরাম আয়েশের চাহিদা থাকাও স্বাভাবিক। বর্তমান সময়ে ব্যাক্তি পর্যায়ের পর্যটক হতে কর্পোরেট পর্যন্ত সবাই রিল্যাক্স এন্ড কমফোর্টের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। পর্যটকদের বিশাল একটা অংশ সুন্দরবন ভ্রমণে আগ্রহী থাকার পরও রিল্যাক্স ও কমফোর্টের নিশ্চয়তা না থাকায় নীরব থাকেন। সুতরাং, বাস্তবতা অনুযায়ী ৫তারকা মানের ক্রুজ শিপ ‘দ্যা ওয়েভ’ নির্মাণে আমি কোনো ঝুঁকি বোধ করছি না। আমার কাছ থেকে যারা সেবা কিনেন দ্য ওয়েভ তাদের চাহিদার সামান্য প্রতিদান বলতে পারেন।

পর্যটনিয়াঃ দ্যা ওয়েভ’ ক্রুজ শিপের সার্ভিস ফেসিলিটিজ গুলো সম্বন্ধে একটু বলবেন-

ফয়সালঃ দ্যা ওয়েভ ক্রুজ শিপে ৩২টা ক্যাবিনে মোট ৭৫জনের আবাসন ব্যবস্থা করা আছে। এরমধ্যে ফ্যামিলি কেবিন ১২টা আর অবশিষ্ট ২০টা টুইন/ট্রিপল শেয়ারিং কেবিন। প্রতিটি কেবিনই এটাচড বাথ। ৪০০ স্কয়ার ফিটের একটা সুইমিংপুল আছে। আরও আছে ১৬০০ স্কয়ার ফিটের একটা কনফারেন্স রুম সাউন্ড সিস্টেম সহ। এছাড়াও শিপের সামনে আর পিছনে বসে আড্ডা দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গা আছে। সকালের নাশতা, দুপর ও রাতের খাবার সবই বুফে।

পর্যটনিয়াঃ সুন্দরবন ভ্রমণে গোসলের পানির একটা সংকট থাকে,-

ফয়সালঃ ট্যুরিস্ট ভেসেলগুলোর ওয়েট ক্যাপাসিটির কারণে গোসলের জন্য একটি মাত্র টাংকি সাধারণত খুলনা শহর থেকেই ভরে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথম বা দ্বিতীয় দিন শেষে ওই পানি প্রায় ফুরিয়ে যায়। তখন মটর দিয়ে নদী থেকে তুলনামূলক পরিস্কার  পানি তুলে ট্যাংকি ভরে প্রয়োজনীয় কাজ চালানো হয়। কিন্তু দ্যা ওয়েভ ক্রুজ শিপে রিজার্ভারসহ পানির ট্যাংকি আছে মোট তিনটা। প্রতিটা টাংকিই ভেসেলের টাংকির তুলনায় বেশ বড়। এক ট্যাংকির পানি দিয়েই কমপক্ষে ৭৫ জন পর্যটক অনায়াসে তিন দিন গোসল করতে পারবে। সুইমিং পুলের জন্য রয়েছে পৃথক টাংকি। এছাড়া রিজার্ভ টাংকি রয়েছে একটি। সুতরাং পানির সংকটের সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। আরেকটা কথা গোসলের পানির সাথে খাবার পানি বিষয়েও বলে রাখি, দ্য ওয়েভে যতো কনটেইনার খাবার পানি তার সবগুলোই পিউরিফাই করা থাকবে। সুতরাং পানি বিষয়ক কোনো সমস্যা থাকবে না ইনশাআল্লাহ্‌।

পর্যটনিয়াঃ সুইমিংপুল কি তিন দিনের জন্যেই চালু থাকবে নাকি একদিনের জন্য?

ফয়সালঃ তিনদিনের জন্যই চালু থাকবে। সময়টা হবে সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত।

পর্যটনিয়াঃ আমার জানা মতে সুন্দরবনে প্যাকেজ ট্যুর করে এমন আরও একটা ক্রুজ শিপে সুইমিং পুল আছে। তাহলে অন্যান্য শিপের তুলনায় আপনার শিপের (USP) ইউনিক সেলস পয়েন্ট কী? যা আপনার শিপে আছে কিন্তু অন্য কোনো শিপে নাই-

ফয়সালঃ ক্রুজ শিপ ওয়েভের সাথে অন্য শিপগুলোর তুলনামূলক আলোচনা চলে না। আপনার মনে আছে, প্রথম দিকে সুন্দরবনে যেসব ভেসেল বা শিপে ট্যুর পরিচালনা করা হতো সেগুলোতে সুযোগ সুবিধা ছিল খুবই কম। দিনে দিনে পর্যটকও বাড়ছে, সুবিধাও বাড়ছে। বর্তমানে অনেক ভেসেল বা শিপে কিছু এয়ারকন্ডিশন্ড কেবিন আর কিছু কেবিনে এটাচড বাথও আছে। কোনোকোনো শিপে সেন্ট্রাল এসি আছে তবে সেগুলোতে বাঙ্কবেড কেবিন আছে। বাঙ্কবেড কেবিনগুলো সাধারণত খুব একটা আরামদায়ক হয় না। দ্যা ওয়েভ ক্রুজ শিপ বাকি সবগুলো শিপে থেকে আলাদা। দ্য ওয়েভ মানেই শতভাগ রিল্যাক্স এন্ড কমফোর্ট। দ্যা ওয়েভ শিপে কোনো বাঙ্কবেড কেবিনই নাই। কিছু ব্যাঙ্কবেড কেবিন রেখে খরচ কমানো যেতো কিন্তু পর্যটকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে তা করা হয়নি। সুন্দরবনে প্যাকেজ পরিচালনাকারী যতগুলো শিপ আছে সেগুলোর মধ্যে দ্যা ওয়েভ ক্রুজ শিপেই সুযোগসুবিধা সবচেয়ে বেশি। ওয়েভ শিপটি লম্বায় ১৪৮ ফিট আর চওড়ায় ৩২.৮ ফিট, আয়তনে বড় হওয়ার কারণে এখানে অন্যদের তুলনায় সুযোগসুবিধা বেশি রাখা সম্ভব হয়েছে।

পর্যটনিয়াঃ দ্যা ওয়েভ ক্রুজ শিপের ফুড প্ল্যান কেমন- অ্যামেরিকান নাকি কন্টিনেন্টাল?

ফয়সালঃ অ্যামেরিকান। পর্যটকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ইউরোপিয়ান বা কন্টিনেন্টাল ফুড প্ল্যান ফলো করা হয়নি। অ্যামেরিকান ফুড প্ল্যানে ৩টি মেজর মিল অর্থাৎ সকালের নাশতা, দুপরের ও রাতের খাবার। ওয়েভেও ঠিক তাই। অবশ্য আমাদের দেশের রীতি অনুযায়ী এর বাইরে সকাল ও দুপরের মাঝখানে একটা হালকা নাশতা (রিফ্রেশমেন্ট) এবং সান্ধ্যকালীন নাশতার ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চা/কফি থাকবে আনলিমিটেড।

পর্যটনিয়াঃ তারমানে, আপনার ক্রুজ শিপে ওঠার পর পর্যটকদের বাড়তি আর কোনো খরচ নেই?

ফয়সালঃ হ্যাঁ, শিপে ওঠার পর তিন দিন পর্যন্ত পর্যটকদের আর কোনো খরচ নাই, যত খরচ আছে সব বহন করবে দ্যা ওয়েভ ক্রুজ শিপ কতৃপক্ষ।

পর্যটনিয়াঃ এই যে টানা তিন দিন এতো খাবারের মহাযজ্ঞ, এটা নিশ্চিত করেন কিভাবে?

ফয়সালঃ আমার সুন্দরবন প্যাকেজের অভিজ্ঞতা প্রায় একদশক। এই একদশকে প্রায় পনের হাজার পর্যটককে সেবা দিয়েছি। সুতরাং এখন আমার জন্য অনেক কিছুই অনেক সহজ। যেমন তিন দিনে কতজন পর্যটকের জন্য কী পরিমানে খাবার রাখলে সেটা পর্যাপ্ত হবে সেটা জানি। এছাড়া ওয়েভের রিজার্ভে সব সময় বাড়তি খাবার থাকবেই। এখন পর্যন্ত খাবারের সংকট কখনো হয় নাই ভবিষ্যতেও হবে না ইনশাআল্লাহ্‌।

 পর্যটনিয়াঃ  ওয়েভের খাবারের কোনো বিশেষত্ব আছে কি?

ফয়সালঃ  খাবারের গুণগত রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো আপোষ করা হয়না। আমাদের প্যাকেজের মধ্যে একদিন কাচ্চি বিরিয়ানি থাকে, এই কাচ্চি বিরিয়ানির জন্য খাসীর মাংস দরকার। খাসি মানে খাসিই বকরি নয়। সম্পূর্ণ নিজস্ব তত্ববধানে সুস্থ ও নিরোগ খাসি জবাই করে মাংসের ব্যবস্থা করা হয়। একইভাবে মেন্যুতে চিংড়ি মাছের একটা মালাইকারি থাকে। সেখানেও একদম ফ্রেশ চিংড়ি কেনা হয়। এছাড়াও ভেটকিমাছ বলেন, ফাইসামাছ বলেন সব ধরণের মাছই ফ্রেশটা কিনে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষন করা হয়। খাবারের পর মাঝেমাঝেই আমরা ডেজার্ট হিসেবে হয়তো একটা মিষ্টি দেই, সেই মিষ্টিও দেই সাতক্ষীরার বিখ্যাত ঘোষ ডেয়ারির মিষ্টি, ঘোষ ডেয়ারির মিষ্টি মানে ঘোষ ডেয়ারিরই মিষ্টি, আপোষ করি না। খাবারের গুনগতমান ঠিক রাখার জন্য দ্যা ওয়েভ ক্রুজ শিপে সার্বক্ষনিক জেনাটর চালু রাখার ব্যবস্থা আছে।

পর্যটনিয়াঃ  আপনার স্বপ্নের ক্রুজ শিপ দ্যা ওয়েভ সুন্দরবন ভ্রমণে গুণগত মানের উন্নয়ন ঘটাতে পারবে কি?
ফয়সালঃ  অবশ্যই। কারণ, পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করবে দ্যা ওয়েভ। আশাকরি ওয়েভের কারণে অনেকেই আগ্রহী হবেন। ইতিবাচক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেবার মানের উন্নয়ন ঘটবে। আমার আনন্দ এই যে, প্রতিযোগিতার শুরুটা আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই হচ্ছে।

 পর্যটনিয়াঃ  পর্যটনিয়াকে সময় দেওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।

ফয়সালঃ  ধন্যবাদ। সাবাইকে দ্যা ওয়েভে আমন্ত্রণ।

Leave a Reply