আভ্যন্তরীণ রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউলে বিপর্যয়

Share on Facebook

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আভ্যন্তরীণ রুটে শিডিউলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। কিছুতেই এই বিমানের ফ্লাইট শিডিউল ঠিক রাখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই আগাম ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বের নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। গত ১২ নভেম্বর থেকে এই বিপর্যয় শুরু হয় । দেখা যাচ্ছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্তও এই বিমানের কোনও ফ্লাইটের শিডিউলই ঠিক নেই।

ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলছেন, এতে করে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। যাত্রীরা বিমানের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না। সময় মেনে চলা মানুষেরা এখন আর এই বিমানের যাত্রী হতে চান না। এর ফলে সরকারি এয়ারলাইন্সের ব্যর্থতার সুযোগে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো অভ্যন্তরীণ রুটের বাজার দখল করে নিচ্ছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে যে, আগামী ২৭ ও ২৯ ডিসেম্বরের অধিকাংশ অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের সময় পরিবর্তন (বিলম্ব বা এগিয়ে) ও বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যশোরের বিজি-৪৬৭ ও ৪৬৮ (বিলম্ব), রিজিওনাল রুট কলকাতার বিজি-০৯১ ও ০৯২ (বিলম্ব) সিলেট রুটের বিজি- ৪০১, ৪০২, ৪০৫ ও ৪০৬ (বিলম্ব), , বরিশালের বিজি-৪৬৯ ও ৪৭০ ফ্লাইটের শিডিউল এগিয়ে আনা হয়েছে। সৈয়দপুরের বিজি-৪৯৫, ৪৯৬ (বিলম্ব), চট্টগ্রামের বিজি-৪১৫, ৪১৬ এবং সিলেটের বিজি-৬০১ ও ৬০২ বাতিল করা হয়েছে। রাজশাহীর বিজি-৪৯১ ও ৪৯২ এবং সিলেটের বিজি-৪৬৭ ও ৪৬৮ ফ্লাইট বিলম্বে ছাড়বে।

এছাড়াও ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বরের সকল অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের কিছু বাতিল ও কিছু বিলম্বের বার্তা প্রদান করা করা হয়েছে। এর মধ্যে বাতিল করা হয়েছে যশোরের বিজি-৪৬৫, ৪৬৬, সিলেটের বিজি-৬০১, ৬০২ ফ্লাইট। যশোরের বিজি-৪৯১, ৪৯২, ৪৬৭ ও ৪৬৮ (বিলম্ব), সিলেটের বিজি-৪০৫ ও ৪০৬ (বিলম্ব)।

অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের ফ্লাইট শিডিউল ঠিক রাখতে না পারার কারণ জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শীতকালীন সময়ে শিডিউল ঠিক রাখা একটু সমস্যা। এ সময় কুয়াশা থাকার কারণে ভিজিবিলিটি নির্দেশনা মেনে ফ্লাইট পরিচালনা করতে হয়।

কিন্তু বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোয় তো এরকম শিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়নি- এর জবাবে তিনি বলেন, বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো রেগুলেটরি অথরিটির নির্দেশনা মানে আমি এ কথা বলবো না, তবে বিমান রেগুলেটরি অথরিটির নির্দেশনার বাইরে যায় না এবং নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে ফ্লাইট অপারেশন করে। কারণ সময় বা শিডিউলের চাইতে জীবনের মূল্য বেশি।

তবে বিমানের সংশ্লিষ্টরা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলছেন, প্রকৌশল বিভাগের অক্ষমতার কারণে একের পর এক বিকল হচ্ছে উড়োজাহাজ। গত ১২ নভেম্বর অভ্যন্তরীণ রুটে চলা ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ বিকল হয়ে পড়ায় এই রুটের সবকটি গন্তব্যে ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে বিমানের।

Leave a Reply